কিভাবে বজ্রাসন যোগ ব্যায়াম করবো?



আপনি খুব সহজেই অন্যের সাহায্য ছাড়া চিত্র দেখে বজ্রাসন যোগ-ব্যায়াম করতে পারবেন। বজ্রাসন ব্যায়াম খুবই সহজ। তাই যেকোন বয়সের লোক এ যোগ-ব্যায়াম আয়ত্ত করতে পারবেন। বজ্রাসন যোগ-ব্যায়াম করার প্রধান উপকারিতা হল দেহকে বজ্রের মতো কঠিন/ মজবুত করা। অভ্যাসের দ্বারা যেকোন আসন বা যোগ-ব্যায়াম আয়ত্ত করা সম্ভব।

বজ্রাসন
(Kneeling Pose)

পদ্ধতিঃ নিচের চিত্রের ন্যায় অনুরূপভাবে প্রথমে হাঁটু ভেঙ্গে বসুন। নিজেকে বজ্রাসন ব্যায়ামের জন্য মনশক্তি দৃঢ় করুন। ইংরেজিতে এভাবে বসার নাম (Knell down) দু’পায়ের গোড়ালির ওপর সমস্ত শরীরের ভর দিয়ে বসুন। দু’পায়ের গোড়ালি উরুর নিম্নভাগ (Lower side of the thigh) স্পর্শ করবে। দু’পায়ের পাতার সম্মুখ ভাগ ভূমিস্থিত কম্বল স্পর্শ করবে। গুহ্যদ্বারের দু’পাশে গোড়ালি থাকবে। শ্বাস ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখুন, মেরুদন্ড, ঘাড়মাথা যতটা সম্ভব সোজা রাখুন। আপনার দু’হাত প্রসারিত করে দু’হাঁটুর ওপরে রাখুন।



চিত্রঃ বজ্রাসন

সময়ঃ এই আসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে ৩০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় অবস্থান করতে পারেন। প্রথম প্রথম হাঁটুতে ব্যথা বোধ হবে। তবে এই আসনের পরে শবাসন বা দু’পায়ের হাঁটু Massage করলে হাঁটুর ব্যথা দূর হবে। নিয়মিত অভ্যাস করলে পরবর্তী পর্যায়ে হাঁটুতে আর ব্যথা বোধ হবে না।


ফলাফলঃ এই আসনে দেহের নিম্নভাগ বজ্রের মত কঠিন তথা মজবুত হবে। আহারের পর ৬/৭ মিনিট এই আসনে অবস্থান করলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ ভু্ক্তদ্রব্যাদি সহজেই হজম হয়। অজীর্ণ রোগে যাঁরা ভুগছেন তাঁরা পূর্ণ আহারের কিছু পরে এই আসনটি নিয়মিত করলে অজীর্ণ (indigestion) রোগ দূর হবে। পায়ের শিরা-উপশিরা বিশেষ কার্যক্ষম হবে। এই আসনে উপবিষ্ট অবস্থায় চিরুনী দ্বারা নিয়মিত মাথার চুল আঁচড়ালে বৃদ্ধ বয়সেও চুলে পাক ধরবে না।

==বাংলাদেশ  সেবাশ্রম==
Share on Google Plus

About Bangladesh Sebashrom

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.