ভগবত প্রাপ্তির পথ
শ্রীভগবান্
বলিলেন, অব্যক্তের চিন্তা দুঃসাধ্য, ব্যক্ত উপাসনাই সুখ-সাধ্য, অতএব তুমি আমার ব্যক্ত
স্বরূপেই চিত্ত স্থির কর। কিন্তু চিত্ত স্থির করাও সহজ নহে। অর্জুন বলিয়াছেন, উহাও
দুঃসাধ্য বোধ হয় (গীতা-৬/৩৪ শ্লোক)। তাই শ্রীভগবান্ বলিলেন- (১) যদি আমাতে চিত্ত স্থির করিতে না
পার, তবে অভ্যাস-যোগ দ্বারা আমাতে মন স্থির করিতে চেষ্টা কর। চিত্তকে সমস্ত বিষয় হইতে
প্রত্যাহার করিয়া কোন একটি বিষয়ে পুনঃ পুনঃ স্থাপনের নাম অভ্যাস-যোগ, গীতার ষষ্ঠ অধ্যায়ে
ইহা বিস্তারিত উল্লেখিত হইয়াছে।
(২) যদি এই অভ্যাস-যোগেও
অসমর্থ হও, তবে আমার লাভার্থ আমাতে ভক্তি-উৎপাদক শাস্ত্রোক্ত কর্মাদি (যেমন- শ্রবণ, কীর্তন, ভাগবত-শাস্ত্রাদি পাঠ, পূজার্চনা ইত্যাদি) করিলেও সিদ্ধি লাভ করিবে।
(৩) তাহাতেও যদি অসমর্থ হও, তাহা হইলে
প্রথম হইতেই মদ্যোগ অর্থাৎ আমাতে সর্ব কর্ম-সমর্পণরূপ কর্মযোগ আশ্রয় করিয়া তারপর সংযত
চিত্ত হইয়া সমস্ত কর্মফল ত্যাগ কর। ইহাই হল ভগবত প্রাপ্তির উল্লেখিত পথ।
“জয় রাধেশ্যাম”
==বাংলাদেশ সেবাশ্রম==
0 comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.